প্রশ্ন হতে পারে, কে সাহাবী এবং কে সাহাবী নয়, তা কিভাবে নির্ণয় করতে হবে?
‘রিজাল ও হাদীস’ শাস্ত্র বিশারদগণ এ ব্যাপারে কতিপয় মূলনীতির অনুসরণ
করেছেন। প্রথমতঃ ‘খবরে তাওয়াতুর’ অর্থাৎ একজন মানুষ সম্পর্কে যখন প্রতিটি
যুগের অসংখ্য মানুষ বর্ণনা বা সাক্ষ্য দেবে যে তিনি সাহাবী ছিলেন।
দ্বিতীয়তঃ ‘খবরে মাশহুর’ অর্থাৎ প্রতিটি যুগের প্রচুর সংখ্যক মানুষ সাক্ষ্য
দিবে যে, অমুক সাহাবী। তৃতীয়তঃ কোন একজন সাহাবীর বর্ণনা বা সাক্ষ্যের
ভিত্তিতে। চতুর্থতঃ কোন একজন প্রখ্যাত তাবঈর বর্ণনা বা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে।
পঞ্চমতঃ কেউ নিজেই যদি দাবী করেন, আমি সাহাবী। সে ক্ষেত্রে দু’টি
বৈশিষ্ট্য তাঁর মধ্যে আছে কিনা তা দেখতে হবে। ১. ‘আদালাত’ বা ন্যায়নিষ্ঠতা।
এটি সাহাবীদের বিশেষ গুণ। সাহাবিয়্যাতের দাবীদার ব্যক্তির মধ্যে এ গুণটি
অবশ্যই থাকতে হবে। ২. ‘মুয়াসিরাত’ বা সমসাময়িকতা। সাহাবীদের যুগ শেষ হয়েছে
হিজরী ১১০ সনে। কারণ, রাসূল (সাঃ) তাঁর ইনতিকালের একমাস পূর্বে বলেছিলেন, আজ এ
পৃথিবীতে যারা জীবিত আছে, আজ থেকে একশ’ বছর পর তারা কেউ জীবিত থাকবে না।
সুতরাং হিজরী ১১০ সনের পর কেউ জীবিত থাকলে এবং সে সাহাবী বলে দাবী করলে,
‘রিজাল’ শাস্ত্র বিশারদরা তাকে সাহাবী বলে মেনে নেননি। অনেকে এমন দাবী
করেছিলেন; কিন্তু সে দাবী মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়েছে। তাদের জীবনীও ‘রিজাল’
শাস্ত্রে লিখিত আছে। এ ছাড়াও সাহাবী নির্ধারণের আরো কিছু নিয়ম নীতি
মুহাদ্দিসগণ অনুসরণ করেছেন।
লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ আবদুল মাবুদ
আরবী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
আরবী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
(বইঃ আসহাবে রাসূলের জীবনকথা–প্রথম
খন্ড)
No comments:
Post a Comment