Wednesday, January 22, 2020

সূরা আল-জুমুআহ

সূরার নামের অর্থঃ

জুমুআহর দিন/শুক্রবার/সমাবেশ/সম্মেলন/(শুক্রবারের) সমবেত প্রার্থনা

[মদীনায় অবতীর্ণ- আয়াত ১১, রুকু ০২] [কোরআনে অবস্থান ৬২, অবতীর্ণের অনুক্রম ১১০]
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে-

১. আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ তায়ালার মাহাত্ম্য ঘোষণা করছে, তিনি রাজাধিরাজ, তিনি পূত পবিত্র, তিনি মহাপরাক্রমশালী, তিনি প্রবল প্রজ্ঞাময়।

২. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি (সাধারণ জনগোষ্ঠীর) নিরক্ষর (লোকদের) মাঝে থেকে তাদেরই একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছেন, যে তাদের আল্লাহর আয়াতসমূহ পড়ে শোনাবে, তাদের জীবনকে পবিত্র করবে, তাদের (আসমানী) কিতাবের কথা ও (সে অনুযায়ী দুনিয়ায় চলার) কৌশল শিক্ষা দেবে, অথচ এ লোকগুলোই (রসূল আসার) আগে (পর্যন্ত) এক সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত ছিলো,

৩. তাদের মধ্যকার সেসব (ব্যক্তির জন্যেও)- যারা এখনো (এসে) এদের সাথে মিলিত হয়নি; তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম কুশলী

৪. এটা (মানুষদের ওপর) আল্লাহ তায়ালার বিরাট অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তাকেই তিনি এটা দান করেন; আল্লাহ তায়ালা মহা অনুগ্রহশীল।

৫. যাদের (আল্লাহর কিতাব) তাওরাত বহন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো - অতপর তারা কখনো এটা বহন করেনি, তাদের উদাহরণ হচ্ছে সেই গাধার মতো, যে (কিতাবের) বোঝাই শুধু বহন করলো (এর থেকে কোনো কল্যাণই সে লাভ করতে পারলো না); তার চাইতেও নিকৃষ্ট উদাহরণ সে জাতির, যারা আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করলো; আল্লাহ তায়ালা (এ ধরনের) যালেম জাতিকে হেদায়াত করেন না।

৬. (হে রসূল,) তুমি বলো, হে ইহুদীরা, যদি তোমরা মনে করো, অন্য সব লোক বাদে কেবল তোমরাই হচ্ছো আল্লাহর বন্ধু, তাহলে (সে পুরস্কার পাওয়ার জন্যে) তোমরা মৃত্যু কামনা করো- যদি তোমরা সত্যবাদী হও!

৭. (কিন্তু জীবনভর) এরা নিজেদের হাত দিয়ে যা করেছে (তার পরিণাম চিন্তা করে) এরা কখনো মৃত্যু কামনা করবে না; আল্লাহ তায়ালা যালেমদের কার্যকলাপ সম্পর্কে সম্যক অবগত।

৮. (হে নবী,) তুমি বলো, অবশ্যই (তোমাদের) সে মৃত্যু যার কাছ থেকে তোমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছো, (একদিন) তোমাদের তার সামনা সামনি হতেই হবে, তারপর তোমাদের সে মহান সত্তা আল্লাহর দরবারে হাযির করা হবে, যিনি মানুষের দেখা অদেখা যাবতীয় কিছু সম্পকেই জ্ঞান রাখেন, অতপর তিনি সেদিন তোমাদের সবাইকে বলে দেবেন তোমরা দুনিয়ার জীবনে কে কি করছিলে!

৯. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, জুমুয়ার দিনে যখন তোমাদের নামাযের জন্যে ডাক দেয়া হবে তখন তোমরা (নামাযের মাধ্যমে) আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাও এবং (সে সময়ের জন্যে) কেনাবেচা ছেড়ে দাও, এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা তা জানো!

১০. অতপর যখন (জুমুয়ার) নামায শেষ হয়ে যাবে তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো, আর আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ করো, আশা করা যায় তোমরা সাফল্য লাভ করতে পারবে।

১১. (এ সত্ত্বেও) এরা যখন কোনো ব্যবসায়িক কাজকর্ম কিংবা ক্রীড়াকৌতুক দেখতে পায়, তখন সেদিকে দ্রুত গতিতে দৌড়ায় এবং তোমাকে (নামাযে) একা দাঁড়ানো অবস্থায় ফেলে যায়; তুমি বলো, আল্লাহ তায়ালার কাছে যা কিছু রয়েছে তা অবশ্যই খেলাধুলা ও বেচাকেনার চাইতে উৎকৃষ্ট, (মূলত) আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন সর্বোত্তম রেযেকতা।

অনুবাদকঃ হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ।
প্রকাশনাঃ আল কোরআন একাডেমী লন্ডন।

No comments:

Post a Comment