এক ছিল দরিদ্র ব্যক্তি।
এক বেলা খায় তো আরেক বেলা খায় না। পরনে তার হাজার তালির পোশাক। ক্ষুধার
জ্বালায় কাতর থাকে সারাদিন। ঘর নেই, বাড়ি নেই। পথে ঘোরে, পথেই ঘুমায়।
মনে তার অসীম দুঃখ।
গরিব হলে কী হবে? লোকটির আত্মসম্মানবোধ ছিল তীব্র। খেতে পেত না। কিন্তু
কারও কাছে হাত পাতত-না সে। কেউ যদি কিছু দিত তাকে তবেই তার খাওয়া হত। নইলে
উপোস।
তার এই গরিবি অবস্থা দেখে একজন বলল─ ভাইরে, এত কেন কষ্ট করছ?
তার চেয়ে বরং যাও না এই শহরের সবচেয়ে ধনী লোকের কাছে। তিনি খুব দয়ালু ও
উপকারী। গরিবের দুঃখ তিনি দূর করতে চান। নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে সাহায্য
করবেন।
এই শুনে গরিব লোকটি বললেন─না, না, তা হবে কেন? না-খেতে পেয়ে
মারা যাব তা-ও ভালো─কিন্তু অন্যের সাহায্য নিয়ে বেঁচে থাকা খুব কষ্টের।
কারও অনুগ্রহ আমি কামনা করি না। ভিক্ষা করে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া
অনেক ভালো। আর যাই হোক, আমার মনে অপার শান্তি আছে। আমি মনে শান্তি নিয়েই
বেঁচে থাকতে চাই।
অনুবাদকঃ আমীরুল ইসলাম
[শেখ সাদীর গল্প ─ লেখকঃ আবু মুহাম্মদ মুসলিহ আল-দীন বিন আবদাল্লাহ শিরাজি (শেখ সাদি বা সাদি শিরাজি বলেও পরিচিত)। অনুবাদকঃ আমীরুল ইসলাম। প্রকাশনাঃ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। গ্রন্থমালা সম্পাদকঃ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। প্রকাশকঃ মোঃ আলাউদ্দিন সরকার]।
No comments:
Post a Comment