সাইফুল বাহার
যুদ্ধে যোগদান করেছে মুসলমানদের একটি ছোট্ট বাহিনী।
এই তিনশ,
সদস্যের বাহিনীর মধ্যে আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) ছিলেন। আর ছিলেন মদীনার খাজরাজ
সর্দার সা’আদ বিন উবাদাহর ছেলে কায়েস (রাঃ)।
এই মুসলিম বাহিনীর
অধিনায়ক ছিলেন আবু উবায়দাহ ইবনুল যাররাহ (রাঃ)।
অভিযানকালে
মুসলিম বাহিনীর রসদ ফুরিয়ে গেলে ভয়ানক সংকটে পড়ল তারা।
এই অবস্থা
দেখে কায়েস উট ধার করে এনে সবার জন্যে জবাই করতেন। এভাবে তিনি তিন দিনে ৯টি উট ধার
করে জবাই করার পর আবু বকর ও উমর চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং অধিনায়ক আবু উবায়দাহ ইবনুল
যাররাহকে গিয়ে বললেন, “কায়েস এভাবে যদি প্রতিদিন উট ধার করে এনে জবাই করতে থাকে,
তাহলে তার পিতার সব সম্পদ সে এখানেই শেষ করে দেবে। আপনি তাকে উট জবাই থেকে বারণ
করুন।”
আবু উবায়দা
(রাঃ) কায়েসকে সে মুতাবিক নির্দেশ দিলেন।
যুদ্ধ থেকে মদীনায়
ফেরার পর কায়েস (রাঃ) পিতার কাছে মুসলিম বাহিনীর রসদ সংকট ও দুঃখ-দুর্দশার কথা
জানালেন।
পিতা তাকে
বলল, তুমি উট যোগাড় করে সকলের জন্যে জবাই করতে পারতে। কায়েস (রাঃ) বললেন, পর পর
তিন দিন আমি তাই করেছি। কিন্তু আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) এই কথা বলায় অধিনায়ক আবু
উবায়দা (রাঃ) আমাকে উট জবাই করতে বারণ করেন।
ক্ষোভ ও আবেগে
আপ্লুত হয়ে পড়লেন সা’আদ (রাঃ) ইবনে উবাদাহ। তিনি ছুটলেন মহানবীর কাছে।
মহানবী (সাঃ)
তখন বসেছিলেন। সা’আদ (রাঃ) তাঁর পেছনে এসে দাঁড়ালেন এবং অভিমান-ক্ষুব্ধ ও আবেগ
জড়িত কণ্ঠে মহানবী (সাঃ)-কে বললেন, “ইবনে আবু কুহাফাহ এবং ইবনে খাত্তাব-এর পক্ষ
থেকে কেউ জবাব দিক যে, তারা আমার পুত্রকে কেন বখিল বানাতে চায়?”
বইঃ আমরা সেই সে জাতি – তৃতীয় খণ্ড
No comments:
Post a Comment