যুদ্ধ
চলছে সুস্তার রণাঙ্গনে।
আনাস
ইবনে মালিক এবং তার ভাই বারা ইবনে মালিক পদাতিক বাহিনীর অফিসার।
বারা
ইবনে মালিক ছিলেন দক্ষিণ বাহুর একজন অফিসার।
অনেক
দিন ধরে চলছে সুস্তার দুর্গের অবরোধ। যুদ্ধের এক ফাঁকে আনাস ইবনে মালিক তার ভাই
বারা ইবনে মালিকের তাঁবুতে প্রবেশ করলেন। দেখলেন, বারা সুর করে কবিতা আবৃত্তি করছেন।
আনাস
ইবনে মালিক বললেন, ‘ভাই
আমার, আল্লাহ আমাদের কুরআন শরীফ দান করেছেন। কুরআন কবিতা
থেকে উত্তম। সুললিত কণ্ঠে তা তেলাওয়াত করুন।’
বারা
ইবনে মালিক হাসলেন। বললেন, “আনাস, সম্ভবত তুমি ভয় পাচ্ছ যে, আমি বিছানাতেই মারা যাব। কিন্তু আল্লাহর কসম, এমন
তরো হবে না। আমি মরলে ময়দানেই মরবো।”
সে
দিনই বাধল ইরানীদের সাথে এক ঘোরতর যুদ্ধ।
মরণপণ
এ লড়াইয়ে মুসলিম বাহিনী চূড়ান্ত আঘাত হানতে চাইলো ইরানীদের উপর।
ইরানীদের
দুর্ধর্ষ সেনাপতি হুরমুযানকে লক্ষ্য করে অগ্রসর হলো বারা ইবনে মালিক। ইরান
সেনাপতির অবস্থানে বিপর্যয় ঘটাতে পারলে বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
ইরান
সেনাপতির দুর্ভেদ্য ব্যুহে ঝাঁপিয়ে পড়ল বারা ইবনে মালিক। ব্যুহটি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন
করে বারা আক্রমণ করে বসলেন সেনাপতি হুরমুযানকে।
আহত, ক্লান্ত বারা শহীদ হলেন হুরমুযানের
হাতে, কিন্তু ইরান বাহিনীর মেরুদন্ড তখন ভেঙ্গে পড়েছে। বারা
শহীদ হলেন, কিন্তু হুরমুযান শোচনীয়ভাবে পরাজিত ও বন্দী হলেন।
বারা
তাঁর ভাই আনাসকে দেয়া কথা রাখলেন শাহাদাতের অমৃত পেয়ালা পান করে।
বইঃ আমরা সেই সে জাতি – তৃতীয় খণ্ড
No comments:
Post a Comment