Thursday, March 12, 2020

খাদেমের সাথে ব্যবহার

আনাস বিন মালিক মহানবীর ফায়-ফরমাশ শোনে।

মহানবী (সাঃ) হিজরত করে মদীনা আসার পর পরই আনাসের মা উম্মে সুলাইম ১০ বছরের আনাসকে মহানবীর কাছে পেশ করে বলেন, আমার এ কলিজার টুকরা আপনার খেদমতে হাজির থাকবে, আপনার ফায়-ফরমাশ শুনবে। আপনি তাকে গ্রহণ করুন।

তারপর থেকে রাত এবং মধ্যদিনের একটা অংশ বাড়িতে কাটানো ছাড়া ফজরের পূর্ব থেকে গোটা সময় আনাস কাটিয়েছেন মহানবীর খেদমতে। অনেক কথা ও কাহিনীর আকর ছিলেন এই আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)।

একদিনের কথা।

মহানবী (সাঃ) কোন কাজের নির্দেশ দিলেন আনাসকে। আনাস আদেশ তামিলের জন্যে বেরিয়ে গেল। পথে একদল ছেলেকে খেলতে দেখে সে দাঁড়িয়ে গেল এবং খেলা দেখতে লাগল। মহানবীর আদেশের কথা বেমালুম ভুলে গেল সে।

অনেক দেরী দেখে আনাসের খোঁজে বেরুলেন মহানবী (সাঃ) নিজে। খেলা দেখায় মশগুল আনাসকে দেখতে পেলেন তিনি।

আল্লাহর রাসূলকে দেখে আনাসের মনে পড়ে গেল আল্লাহর রাসূলের আদেশের কথা। কিন্তু ভয় পেয়ে পালানোর মত বেয়াদবী করল না আনাস। লজ্জিত হয়ে আদবের সাথে দাঁড়িয়ে থাকল।

মহানবী (সাঃ) এসে স্নেহের সাথে আনাসের হাত হাতে নিলেন এবং স্মরণ করিয়ে দিলেন তার আদেশের কথা।

আনাস ছুটল তার কাজ নিয়ে। মহানবী (সাঃ) যতক্ষণ আনাস না ফিরল, ততক্ষণ কাছেই একটা দেয়ালের ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকলেন।

আনাস (রাঃ) বলেন, “আমি দশ বছর তাঁর খেদমত করেছি। কিন্তু নবী (সাঃ) আমার উপর কোন সময় অসন্তুষ্ট হননি এবং আমার উপর কোন দাপটও দেখাননি। এমনকি কোন সময় এমন কথাও বলেননি যে, অমুক কাজ কেন করেছ বা অমুক কাজ কেন করনি।

লেখকঃ আবুল আসাদ
বইঃ আমরা সেই সে জাতি তৃতীয় খণ্ড

No comments:

Post a Comment