Wednesday, December 26, 2018

আবদুল্লাহ ও সা’দের অভিলাষ

উহুদের যুদ্ধ ক্ষেত্র। যুদ্ধের আগের দিন সন্ধ্যা। হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ গিয়ে সাদ ইবন রাবীকে বলল, ‘চল আমরা একত্রে দোয়া করি। আমি দোয়া করব, তুমী আমীনবলবে। আবার তুমি দোয়া করবে, আমি ‘’আমীন বলবো। 

প্রথমেই প্রার্থনা করলেন হযরত সাদ। তিনি দুটি হাত উর্ধ্বে তুলে বললেন, “হে আল্লাহ, আগামী কালের যুদ্ধে এক ভীষণ যোদ্ধা আমাকে জুটিয়ে দিন তাকে যেন যুদ্ধে পরাজিত করে আমী গাজী হতে পারি আর পরিত্যাক্ত মাল-সম্ভার আমি লাভ করি।সাদের এ প্রার্থনায় আবদুল্লাহ ইবন জাহাশআমীনবললেন। তারপর জাহাশের পালা। জাহাশ দুটি হাত তুলে মহা প্রভুর দরবারে সানুনয় প্রার্থনা জানালেন, “হে আল্লাহ, আগামী কাল যুদ্ধে আমাকে অতি বড় এক শত্রুর মুখোমুখি করুন। আমি যেন সর্বশক্তি দিয়ে তার মুকাবিলা করি এবং অবশেষে যেন শাহাদাতের অমৃত স্বাদ লাভ করতে পারিশত্রুরা যেন আমার নাক-কান কেটে নেয়। পরে কিয়ামতের দিন আমি যখন আপনার সমীপে উপস্থিত হবো, তখন আপনি জিজ্ঞেস করবেন, ‘আবদুল্লাহ, তোমার নাক-কান কেন কাটা গেছে? তখন আমি উত্তর দেবো, ‘হে আল্লাহ, আপনার এবং আপনার রাসূলের রাস্তায় কাটা গেছে।তখন আপনি বলবেন, “হ্যাঁ, সত্যিই আমার রাস্তায় কাটা গেছে।আবদুল্লাহর প্রার্থনা শেষে সাআমীনবললেন। 

পরের দিন উহুদের ঘোরতর যুদ্ধে তাঁদের প্রার্থনা অনুসারেই ঘটনা ঘটল। সাদ গাজী হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এলেন। কিন্তু হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ তাঁর প্রার্থনা মুতাবিক শহীদ হলেন। সন্ধ্যার সময় যখন শহীদদের লাশগুলোর সন্ধান করা হলো, তখন দেখা গেল, যুদ্ধক্ষেত্রের কেন্দ্রভূমিতে আবদুল্লাহ শহীদ হয়ে পড়ে আছে। তাঁর নাক-কান কাটা। তাঁর হাতে তখনও তরবারি ধরা। কিন্তু শহীদের সে তরবারির অর্ধাংশ ভাঙা। 

লেখকঃ আবুল আসাদ (আমরা সেই সে জাতি-প্রথম খন্ড)

No comments:

Post a Comment