Monday, December 31, 2018

মুরতাদ প্রশ্নে আবুবকরের দৃঢ়তা

ভন্ড মহিলা নবী সাজাহ-এর মিত্র ও সাহায্যকারী মালিক ইবনে নুয়াইরা মুসলিম সেনাধ্যক্ষ খালিদের হাতে যুদ্ধে পরাজিত ও বন্দী হলেন। মালিক ইবনে নুয়াইরা যাকাত দেয়া বন্ধ করেছিল। অনেকের মতে মাগরিব ও এশার নামায পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল সে। সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে হযরত খালিদ মালিককে সাহাবী হযরত যিরার ইবনে আওয়ার (রাঃ) এর দায়িত্বে সোপর্দ করেছিলেন। পরে সে নিহত হয়ে ছিল। 

এ খবর মদীনায় পৌঁছলে হযরত উমার (রাঃ) হযরত যিরার (রাঃ) ও হযরত খালিদ (রাঃ) এর বিরুদ্ধে মালিক হত্যার অভিযোগ আনলেন। হযরত উমার (রাঃ) পরিস্থিতিগত কারণে যাকাত অস্বীকারকারীদেরকেও সাময়িকভাবে মুসলমান বলে মনে করার পক্ষপাতি ছিলেন। উমার ফারুক (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কাছে অভিযোগ করে বলেছিলেন, “খালিদ মালিককে হত্যা করে কিতাবুল্লাহর বিরুদ্ধাচারণ করেছে 

কিন্তু হযরত আবু বকর তাঁর সাথে একমত হলেন না। মুরতাদদের জন্য খলীফা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর বিন্দুমাত্র দরদও ছিল না। মুরতাদদের প্রতি হযরত উমার (রাঃ) এর শৈথিল্য প্রস্তাবের উত্তরে খলীফা আবু বকর (রাঃ) বলেছিলেন, “আমি নামায, যাকাত প্রভৃতি কোন ফরয সমন্ধে সামান্য শৈথল্য প্রদর্শন করতে পারি না। আল্লাহর ফরয হিসেবে নামায ও যাকাতের মধ্যে কোন প্রভেদ নেই। আজ যাকাত সম্বন্ধে শৈথিল্য দেখালে কাল নামায রোযা সম্বন্ধেও কিছুটা ঢিল দিতে হবে। আল্লাহর শপথ করে বলছি, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে যারা একটি মেষ শাবক যাকাত দিত, আমি সেই মেষ শাবকও লোকেদের ভয়ের খাতিরে বাদ দিতে পারব না। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর হুকুমের সকল অবাধ্য লোককে অবনত করতে আমি একা হলেও যুদ্ধ করে যাব 

লেখকঃ আবুল আসাদ (আমরা সেই সে জাতি-প্রথম খন্ড)

No comments:

Post a Comment