Wednesday, November 28, 2018

গাধা গেলো গাধা গেলো

এক দেশে ছিলো এক সাদাসিধে ও ভবঘুরে ফকীর। তাঁর সম্বলের মধ্যে ছিলো একটি গাধা। গাধায় চড়ে এই ফকীর গ্রামে-গ্রামে, শহরে-গঞ্জে সফর করতেন। দিনের বেলায় শুধু পথচলা, আর রাত কাটাতেন কোন খানকায় বা ফকীরের আস্তানায় বা দরগায়। সেখানে অন্যান্য ফকীর-দরবেশের সাথে ভাব জমিয়ে গল্প-গুজব ও আলাপ-আলোচনায় তাঁর রাত কেটে যেতো। এরকম কোন স্থান কোথাও পাওয়া না গেলে এই ভবঘুরে ফকীর মসজিদে মাদ্রাসায় রাত কাটাতেন আর বলতেন, “ফকীর-দরবেশের যেখানে রাত সেখানেই কাতফকীরের কেউ ছিলো না, ধনসম্পদ বা জমিজমাও নেই। কোন কাজও তিনি জানতেন না। ফকীরের কাজ ছিলো বস্তিতে বস্তিতে উপদেশমূলক কবিতা পাঠ এবং হামদ্, নাত ও গজল গাওয়া। মানুষ এসব শুনে তাকে যা দান খয়রাত করতো তা দিয়েই চলে যেতো তার একাকী জিন্দেগী। এ নিয়েই ফকীর খুব তৃপ্ত হয়ে আল্লাহর শোকর গুজারী করতেন। বিরাট জোব্বা গায়ে চড়িয়ে এই ফকীর গাধায় চড়ে আল্লাহর দুনিয়া ঘুরে বেড়াতেন। তার নীতি ছিলো দুনিয়ার ভালোমন্দ থেকে শিক্ষা গ্রহণ। খানাপিনার প্রতি তেমন কোন লোভ ছিলো না। তিনি বলতেন, “কোন মুখ রুজী ছাড়া থাকে না, সামান্য যা কিছু জুটবে তা খেয়েই শোকরিয়া করো। কিসমতে যা আছে তা আসবেই। দুনিয়ার প্রতি বেহুদা দুশ্চিন্তা করে ফায়দা নেই। খোলামনে নিশ্চিন্ত থাকলেই আছে কি নাইয়ের কষ্ট লাগবে না।ফকিরদেরতো এ ধরনেরই মন মানসিকতা। তা না হলে কি করে, ফকীর দরবেশ হবেন!

একদিন এই ফকীর মরুপ্রান্তর পাড়ি দিয়ে গাধায় চড়ে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত অবস্থায় এক গ্রামে এসে পৌঁছুলেন। পানির ঝরণা দেখেই গাধা থেকে নেমে হাত মুখ ধুয়ে আজলা ভরে পানি খেলেন। গাধাটিও পেট ভরে পানি খেলো। এরপর খানকার সন্ধানে বের হলেন। লোকজনকে জিজ্ঞেস করতেই একটি জঙ্গল দেখিয়ে বললো, “যাও এর ভেতর। ওখানে ফকীরদের একটি আস্তানা আছে।সংসারত্যাগী ফকীর পৌঁছে গেলেন সেখানে। গিয়ে দেখলেন একদল ফকীর দরবেশ আসর জমিয়েছে। ফকীর তার গাধাটি আস্তাবলে নিয়ে গেলেন এবং কিছু ঘাস সংগ্রহ করে গাধার খোয়াড়ে রেখে এলেন। খানকার খাদেমকে গাধাটির প্রতি দেখাশোনার অনুরোধ জানিয়ে প্রবেশ করলেন ফকীরদের দরবারে।

ফকীরদের আস্তানায় সাধারণতঃ খারাপ ভালো সব ধরনের মানুষই আড্ডা জমায়। সত্যিকার সূফী দরবেশ থেকে নিয়ে দীনহীন ভিখারী, ফকীর, ভবঘুরে বেকারের দল, এলাকার মাস্তানেরা সবাই আড্ডা জমিয়ে থাকে এসব আস্তানায়। আস্তানায় সূফী দরবেশরা নয়া মেহমান দেখে তাকে মারহাবা মারহাবা বলে স্বাগত জানালেন। তার সাথে মুসাফাহা কোলাকোলি করে তাকে নিজেদের মাঝে আসন পেতে দিলেন। ফকীর এ আপ্যায়নে পথের ক্লান্তি ভুলে গেলেন এবং তাদের সাথে কথাবার্তায় মশগুল হলেন। এদিকে আস্তানায় উপস্থিত গ্রামের মস্তানরা এই অজ্ঞাত পরিচয় দরবেশের গাধাটি দেখে মতলব আটতে লাগলো। তারা দরবেশকে অন্য সবার চেয়ে ইজ্জত সম্মান দেখাতে শুরু করে দেয়। একজন তো লাফ দিয়ে দরবেশদের কায়দায় হাঁক মারলো হক মাওলাআরেকজন আগন্তুকের হাতে চুমু খেয়ে বললো, আজকের আসরের সভাপতির স্থান আপনাকেই অলঙ্কৃত করতে হবে। অন্য একজন অতি আগ্রহের সাথে তার খবরাখবর, ইতিহাস ও গল্প কাহিনী শোনার জন্য কথা জুড়ে দিলো। এভাবে সবাই মিলে ফকীরকে গল্প-গুজবে মাতিয়ে তুললো। আর বাকী মস্তানেরা ইশারা-ইঙ্গিতে দলের দোস্তদের নিয়ে আস্তানা থেকে বাইরে বেরিয়ে গেলো। এই মস্তানগোষ্ঠী আসলে এরকম কোন অজ্ঞাত পরিচয় আগন্তুকেরই অপেক্ষা করছিলো যার সাথে সহায় সম্বল কিছু না কিছু থাকবে। আর ওরা ছল চাতুরীর মাধ্যমে বেচারার সম্বলখানি বিক্রি করে তা খানাপিনা ও হৈহুল্লোড় করে উড়াবে। গাধায় চড়ে এ ফকীরকে আসতে দেখেতো ওদের পোয়াবারো। দুষ্টের দল একমত হলো। ফকীরকে গল্প-গুজবে মশগুল করে ওরা আস্তাবলে গিয়ে গাধাটি বের করে আনলো এবং গ্রামের ভেতর নিয়ে গিয়ে এক পথিকের কাছে মোটামুটি দামে বিক্রয় করে এই টাকা দিয়ে বাজার থেকে খানাপিনা, মিষ্টি, সন্দেশ, হালুয়া, পরোটা, পোলাও কোর্মা যা মনে চেয়েছে সব নিয়ে ফিরে এলো দরবেশদের আস্তানায়। তারা আস্তানায় ঢুকেই ঘোষনা দিলো, “আজ আমাদের এই খানকায় মহামান্য খাজাবাবা ফকীর হুজুরের আগমনে আমরা খুবই আনন্দিত ও যারপরনেই খুশি। আজ উপস্থিত সবাইকে এই ফকীর হুযুরের সম্মানে সামান্য খানাপিনার দাওয়াত দিচ্ছি। আসুন, এ দাওয়াত কবুল করে হুযুর কেবলার ইজ্জত করুন। হুযুর কেবলার পদধূলি এশকের খুশবো ছড়াচ্ছে।

ফকীর আড্ডাবাজ মস্তানদের মেহমানদারী ও তোষামোদে খুশীতে আত্নহারা। সবাই মশগুল হলো রঙবেরঙের খানাপিনার জিয়াফতে। ফকীর বেচারা আস্তানার লোকদের এতো মেহমানদারী ও আদর আপ্যায়ন দেখে খুশিতে বাগ বাগ। সবাই মিলে রঙবেরঙের খানাদানা, মজার মজার শরবত, মিষ্টি, জিলাপি, রসগোল্লা খেয়ে বহুৎ বহুৎ শুকর গুজারী করলো। এরপর ফকীরী নিয়ম অনুযায়ী শুরু হলো গানবাজনা ও গজল কাওয়ালীর আসর। সবাই নবাগত ফকীরকে ঘিরে গোল হয়ে আসর গরম করে তুললো আর মাথা ঝুঁকিয়ে ফকীরের খেদমতে সম্মান দেখাতে লাগলো। কেউ কেউ দরবেশের আলখিল্লার ধূলা ময়লা সাফ করে দিলো, কেউ কেউ তার হাতপায়ে চুমো খেতে লাগলো আর মাঝে মাঝে হাঁক মারতে লাগলো, “হঁক মাওলা মস্তানরা তো ফকীরকে হুযুর কেবলাবলতেই অজ্ঞান। আসর বেশ গরম হয়ে উঠলো। ফকীররা ধীরে ধীরে গজলের সাথে সাথে হাততালি ও নাচানাচি শুরু করলো। মস্তানদের ইশারায় তবলচী তবলায় টোকা মারছে। ইতিমধ্যে এই তবলচীও গাধা বিক্রির কিচ্ছা জেনে নিয়েছে। তাই গাধার ঘটনার সাথে মিল রেখে যে গজল বানালো। তার প্রথম পংতি হচ্ছেঃ

হুযুর এলো খুশী এলো দুঃখ যত মুছে গেলো
বলো বলো সবাই বলো গাধা গেলো গাধা গেলো

মস্তানরা তবলার ও তবলচীর তালে তাল মিলিয়ে কোরাস গাইতে লাগলো গাধা গেলো গাধা গেলো।সবাই এই গজলের সুরে সুর মিলিয়ে আস্তানার আকাশ-বাতাস মুখর করে তুললো। নাচানাচি, ধাক্কাধাক্কি ও ঠেলাঠেলির ভেতর গজলের ঐ জায়গায় তবলচী বিশেষ ভঙ্গিতে হক মওলাবললেই সবাই জুড়ে দিচ্ছে, “গাধা গেলো গাধা গেল।

নবাগত ফকীরও সকল ফকীর-দরবেশের এ হালত দেখে পথের সকল ক্লান্তি, পরিশ্রমের কথা একেবারেই ভুলে গেলেন। সবাই গাধা গেলো গাধা গেলোবলে কোরাস গাইতে থাকলে বেচারা মনে করলেন, এ ব্যাপারে বুঝি বা কোন কাহিনী আছে এলাকার দরবেশদের। তাই তিনিও অন্য সবার সাথে কোরাসে যোগ দিয়ে ধীরে ধীরে একেবারে বিভোর হয়ে পড়লেন। শেষ পর্যন্ত তার অবস্থা এমন হলো যে, তার গাধা গেলো গাধা গেলোআওয়াজ অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেলো।

এভাবে প্রায় ঘন্টাদুয়েক আস্তানায় গান বাজনা ও নাচানাচি হরদম চললো। রাত গভীর হয়ে এলো। সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, কেউ কেউ যার যার বাড়ী ঘরে ফিরে গেলেন, কেউবা সেখানেই শুয়ে পড়লেন। বেচারা দরবেশও সারাদিনের সফরের কষ্ট ও নাচানাচির ফলে একেবারে বেহাল হয়ে পড়লেন এবং এক কোণায় গা এলিয়ে দিয়ে নাক ডেকে ঘুমুতে লাগলেন।

পরের দিন সকালে আসরের সবাই আস্তানা ছেড়ে যার যার কাজে চলে গেলো। আগন্তুক ফকীর সবার শেষে প্রায় দুপুর বেলায় ঘুম থেকে সজাগ হলেন। জামাকাপড় গোছগাছ করে তার সফরের জন্য তৈরী হলেন। আখড়া থেকে বের হয়ে আস্তাবলে গেলেন গাধার জন্য। কিন্তু সেখানে গাধা নেই। ফকীর ভাবলেন, নিশ্চয়ই খাদেম গাধাটি পার্শ্ববর্তী কোন পুকুরে পানি খাওয়াতে নিয়ে গেছে। কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষার পর খাদেমের দেখা মিললো। তবে তার সাথে গাধা নেই। অচেনা ফকীর খাদেমকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার গাধা কই ? খাদেম ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো, গাধা? কোন গাধা?

দরবেশ বললেন, কোন গাধা আবার! আমার গাধা, যা গত রাতে তোমার হাওলায় রেখেছিলাম। তার কথাই বলছি।

এবার খাদেম দরবেশের প্রতি বিদ্রুপের হাসি হাসলো এবং ঠাট্টা মস্করা করে বললো, “লম্বা দাড়ির কান্ড দেখো।

দরবেশ উদ্বিগ্ন ও পেরেশান হয়ে বললেন, “এ কি ধরনের কথা বাপু! আমাকে ঠাট্টা করা হচ্ছে! আমি বলছি আমার গাধা এনে দাও। আর ব্যাটা কিনা আমার সাথে ইয়ার্কি করছে ? আমার সাথে তোমার ঠাট্টারসম্পর্ক নাকি ? যাও শিগগির আমার গাধা এনে দাও, আমি এখন সফরে বের হবো। যদি কোন কুমতলব এঁটে থাকো ও পাগলামীর ভান করতে চাও আর আমাকে ভোগাতে চাও তাহলে সোজা এখানকার কাজীর দরবারে যাবো এবং তোমার বারোটা বাজিয়ে ছাড়বো।

খাদেম জবাব দিলো, “ঠাট্টা মস্করা তুমিই জুড়ে দিয়েছো, ব্যাটা উল্লুক কোথাকার। গত রাতের এতো মজার মজার খানাদানা, জিলাপি, রসগোল্লা ও ঠান্ডা-গরম পানীয় শরবত যা হৈ হুল্লা করে খেলে তা কোত্থেকে এলো? ঐসব তোমার গাধা বিক্রির টাকা দিয়েই যে কেনা! গাধা বিক্রয়ের কথা বেমালুম ভুলে গেছো দেখছি।

দরবেশ চিৎকার করে বলে উঠলেন, “কি সর্বনাশ! হায় হায় আমার গাধার টাকায় এতোসব? ব্যাটা, তোকে কে অনুমতি দিলো গাধা বিক্রয়ের?”

খাদেম বললো, “আমি বিক্রয় করিনি। মস্তানরা বিক্রি করেছে?”

দরবেশ বেচারা বললেন, “তুই কেনো ওদেরকে গাধা নিতে দিলি ? আমি কি গাধার মালিক ছিলাম না?”

খাদেম বললো, “আমি কি ওদের সাথে জোরে পারি ? ওরা ছিলো দশজন। আমাকে ভয় দেখালো এবং বললো, ‘গাধাটি নিয়ে যাচ্ছি, কোন কথা যদি বলিস তোর একদিন আর আমাদের একদিন! যা ঘটবে তার জন্য তুই দায়ী।আমি জানের ভয়ে চুপ রইলাম। ওরা দুজনকে এখানে পাহারায় রেখে গেলো যাতে আমি আস্তানায় গিয়ে খবর দিতে না পারি। এরপর তো যা হবার হলোই। জলসা গরম হল ও হৈ হুল্লোড়ের ভেতর ডুবে গেলো। সবাই সেখানে যোগ দিয়ে আসমান-জমিন তোলপাড় করলো।

দরবেশ বললেন, “তা না হয় ঘটেই গেলো এবং গাধাটিকেও না হয় জোর করে নিয়ে গেলো কিন্তু আমি কি এখানে ছিলাম না? আধাঘন্টা, একঘন্টা কিংবা দুঘন্টা পরওতো আমাকে জানাতে পারতিস। তাহলে নিশ্চয় ওদের চিনতে পারতাম। আর নিজ থেকেই ওদের সাথে এ নিয়ে ঝগড়া বাধাতাম এবং সৎলোকদের মধ্যস্থতায় গাধার মূল্য আদায় করতে পারতাম। এতে তো তোর কোন ভয়ের কিছু ছিলো না।

খাদেম জবাব দিলো, “হক কথা বলছো। আমি ঐ রকমই চেয়েছিলাম। ঘটনার ঘন্টাদুয়েক পরে যখন মস্তানরা দরগায় খানাপিনা ও গানবাজনায় মশগুল হয়ে পড়লো তখন আমি সেখানে গিয়েছিলাম তোমাকে ডেকে এনে সব কিছু খুলে বলার জন্য। কিন্তু গিয়ে দেখি তুমি ওদের থেকেও বেশী হৈ চৈ ও নাচানাচি করছো এবং গাধা হাতছাড়া হওয়াতে আনন্দ উল্লাস করে উচ্চকন্ঠে গেয়ে যাচ্ছো গাধা গেলো গাধা গেলোভালো কথা, যখন বুঝতে পারলাম যে ঘটনা তোমার জানা হয়েছে তখন আমার বলারই বা কি থাকে? মনে মনে বললাম, ফকীর মানুষ দিল দরিয়া লোক, আরেফ ওলি। তাই অন্যান্য দরবেশ-ফকীরদের খুশী করার জন্য গাধা বিক্রয় করে দেয়াতে অসন্তুষ্ট হয়নি, বরং খুশীই হয়েছে। এখন ধরে নাও, আমার স্থানে তুমি যদি খাদেম হতে তাহলে কি করতে?”

এবার ভবঘুরে ফকীরের চৈতন্য ফিরে এলো এবং আমতা আমতা করে বললেন, “ঠিকই বলছো বাপু। এখন বুঝতে পারছি সবকিছু। দোষ আমারই। না জেনে, না বুঝে ওদের কার্যকলাপের অনুকরণ করেছি, ওদের তোষামোদে ফুলে গেছি। আর কিনা ওদের তালে তাল মিলিয়ে আমিও ওসব জুড়ে দিলাম।যদি প্রথম থেকেই ভেবেচিন্তে দেখতাম গাধা গেলো গাধা গেলোশ্লোগানের অর্থ কি তাহলে এমনটি নিশ্চয়ই হতো না। এখন আর কিইবা করার আছে। আমার অন্ধ অনুকরণই আমার সাথে সাথে তোমাকেও ধোঁকা দিয়েছে। আমি যদি মস্তানদের গান ও স্লোগানে আত্নভোলা হয়ে সবচেয়ে বেশী তাল না যোগাতাম তাহলে হয়ত আমার একমাত্র সম্বল গাধাটি এভাবে খোয়া যেতো না। কবি ঠিকই বলেছেন,

সর্বনাশ করে সবার অন্ধ অনুকরণ, 
ধ্বংস হোক এ নীতির, হোক চির মরণ।

লেখকঃ মোঃ ফরিদ উদ্দিন খান (সুলতান মাহমুদের দাড়ি) 
গল্পটি মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমির মসনবীকাব্যগ্রন্থ থেকে অনুবাদ কৃত।
 

No comments:

Post a Comment