Monday, July 29, 2019

সূরা আল-ফাজ্‌র [ভোর/ঊষা/প্রভাত]

[মক্কায় অবতীর্ণ- আয়াত ৩০, রুকু ০১] [কোরআনে অবস্থান ৮৯, অবতীর্ণের অনুক্রম ১০]

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে-

১. ভোরের শপথ,

২. শপথ দশটি (বিশেষ) রাতের,

৩. শপথ জোড় ও বিজোড় (সৃষ্টির),

৪. শপথ রাতের যখন তা সহজে বিদায় নিতে থাকে,

৫. এর মধ্যে কি বিবেকবান লোকদের জন্যে কোনো শপথ রাখা হয়েছে?

৬. তুমি কি দেখোনি, তোমার মালিক আদ (জাতি)-এর লোকদের সাথে কেমন ব্যবহার করেছেন?

৭. ‘এরাম’ গোত্র (ছিলো) উঁচু স্তম্ভবিশিষ্ট প্রাসাদের অধিকারী,

৮. (জ্ঞান ও ঐশ্বর্যের দিক থেকে) জনপদে যাদের মতো কাউকেই (এর আগে) সৃষ্টি করা হয়নি,

৯. (উন্নত) ছিলো সামুদ, তারা (পাহাড়ের উপত্যকায়) পাথর কেটে কেটে অট্টালিকা বানাতো,

১০. (অত্যাচারী) ফেরাউন- যে ছিলো কীলক (গেঁথে শাস্তি) প্রদানকারী (যালেম),

১১. যারা দেশে দেশে (আল্লাহর সাথে) বিদ্রোহ করেছে,

১২. তারা তাতে বেশী মাত্রায় (বিপর্যয় ও) অশান্তি সৃষ্টি করেছে,

১৩. অবশেষে তোমার রব তাদের ওপর আযাবের কোড়ার কষাঘাত হানলেন,

১৪. অবশ্যই তোমার রব (এদের ধরার জন্যে) ওঁৎ পেতে রয়েছেন;

১৫. মানুষরা এমন- যখন তার রব তাকে (অর্থ সম্পদের) নেয়ামত ও সম্মান দিয়ে পরীক্ষা করেন তখন সে বলে, হ্যাঁ, আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন;

১৬. আবার যখন তিনি (ভিন্নভাবে) তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার রেযেক সংকুচিত করে দেন, তখন সে (নাখোশ হয়ে) বলে, আমার রব আমাকে অপমান করেছেন,

১৭. কখনো নয়- (আসল কথা হচ্ছে), তোমরা এতীমদের সম্মান করো না,

১৮. মেসকীনদের খাওয়ানোর জন্যে তোমরা একে অপরকে উৎসাহ দাও না,

১৯. তোমরা মৃত ব্যক্তির (রেখে যাওয়া) ধন-সম্পদ নিজেরাই সব কুক্ষিগত করো,

২০. বৈষয়িক ধন-সম্পদকে তোমরা গভীরভাবে ভালোবাসো;

২১. কখনো (তেমনটি উচিত) নয়, (ভেবে দেখো) যেদিন এ পৃথিবীকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া হবে,

২২. (সেদিন) তোমার রব স্বয়ং আবির্ভূত হবেন, আর ফেরেশতারা সব সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে,

২৩. সেদিন জাহান্নামকে (সামনে) নিয়ে আসা হবে, যেদিন প্রতিটি মানুষই (তার পরিণাম) বুঝতে পারবে, কিন্তু (তখন) এ বোধোদয় তার কী কাজে লাগবে?

২৪. সেদিন এ ব্যক্তি বলবে, কতো ভালো হতো যদি আমার (এ) জীবনের জন্যে (কিছুটা ভালো কাজ) আমি আগে ভাগেই পাঠিয়ে দিতাম,

২৫. সেদিন আল্লাহ তায়ালা (বিদ্রোহীদের) এমন শাস্তি দেবেন- যা অন্য কেউ দিতে পারবে না-

২৬. এবং তাঁর বাঁধনের মতো বাঁধনেও কেউ (পাপীদের) বাঁধতে পারবে না;

২৭. (নেককাররদের বলা হবে,) হে প্রশান্ত আত্মা,

২৮. তুমি তোমার মালিকের কাছে ফিরে যাও সন্তুষ্টচিত্তে ও তাঁর প্রিয়ভাজন হয়ে,

২৯. অতপর তুমি আমার প্রিয় বান্দাদের দলে শামিল হয়ে যাও,

৩০. (আর) প্রবেশ করো আমার (অনন্ত) জান্নাতে।

অনুবাদকঃ হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ।
প্রকাশনাঃ আল কোরআন একাডেমী লন্ডন।

No comments:

Post a Comment