খলীফা আল-মানসুর
ইমাম আবু হানিফাকে উচ্চ পদমর্যাদা দান করে তাঁকে বশীভূত করতে
চাইলেন। তিনি তাঁকে
প্রধান বিচারপতির পদে নিযুক্ত করলেন। কিন্তু ইমাম সঙ্গে সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করলেন।
খলীফা অপমানিত বোধ
করলেন এবং ভীষণ ক্রুদ্ধ হলেন। সরকারী নির্দেশ না মানার অভিযোগে ইমাম কঠোর
শাস্তির মুখোমুখি হলেন। শাস্তি হিসাবে শাহী জল্লাদ তাঁকে নির্মমভাবে প্রহার
করলো। তিরিশটি কোড়ার আঘাত তাঁর পিঠে করা হলো। শরীর তাঁর ফেটে গেল। শিরাগুলো
ছিঁড়ে রক্তের স্রোত বইল দেহ থেকে। খলীফা আল-মানসুরের চাচা
খলীফাকে তিরস্কার করে বললেন, ‘হায় হায়!
তুমি এ কি করলে, এক লাখ উন্মুক্ত তরবারি তোমার মাথার উপর
বিছিয়ে নিলে! আবু হানীফা হচ্ছে ইরাকের ফকীহ, সমস্ত
পূর্ব ও পশ্চিমের তথা সারা বিশ্বের ইমাম।’
এ কথায় খলীফা আল- মানসুর
লজ্জিত হলেন এবং তিনি ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেন। প্রত্যেক কোড়ার জন্য এক
হাজার দিরহাম হিসেবে তিরিশ হাজার দিরহাম তাঁর কাছে পাঠালেন। কিন্তু তিনি তা
নিতে চাইলেন না। বলা হলো, ‘এগুলো
আপনি নিজে না রাখেন খয়রাত করে দিন।’ ইমাম জবাব দিলেন, ‘খলীফার কাছে কি কোন হালাল অর্থ আছে যা নিয়ে আমি খয়রাত করবো?’
লেখকঃ আবুল আসাদ (আমরা সেই সে জাতি-দ্বিতীয় খন্ড)
No comments:
Post a Comment