সুলতান মাহমুদ
সতেরবার ভারতে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। তিনি যেমন জয় করেছিলেন বহু রাজ্য,
তেমনি প্রভূত সম্পদও
সংগ্রহ করেছিলেন।
অনেকেই তাঁকে সম্পদ
লোলুপ বলে অভিযুক্ত করেন। কিন্তু এ জন্যই যে তিনি অভিযান গুলো পরিচালনা করেছিলেন
তা প্রমাণ হয়না।
সোমনাথ মন্দিরের
ঘটনা।
সোমনাথ জয়ের পর
সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেন।
বিশাল সোমনাথ মন্দির।
পাঁচশ নর্তকী,
তিনশ গায়ক এবং
মন্দিরে প্রবেশের পূর্বে ভক্তদের মাথা মুণ্ডনের জন্যই ৩০০ নাপিত ছিল এ মন্দিরে।
সুলতান মন্দিরে
প্রবেশের পর পাঁচ গজ দীর্ঘ বিশাল সোমনাথ মূর্তির নাক ভেঙে দিলেন তরবারির এক আঘাতে। তারপর মূর্তিটি
গুড়িয়ে দিতে উদ্যত হলে ব্রাহ্মণরা প্রস্তাব করল মূর্তিটি না ভাঙলে
সুলতানকে তারা প্রচুর স্বর্ণ উপহার দেবে।
সুলতানের কতিপয়
কর্মচারীও সুলতানকে বুঝাল, মূর্তি
ভেঙে কি লাভ। তার চেয়ে স্বর্ণ পেলে তা দান করে দিলেও প্রচুর পুণ্য হবে।
সুলতান মাহমুদ হাসলেন
তাদের প্রস্তাব শুনে।
তারপর গম্ভীর কণ্ঠে
বললেন, ‘সুলতান
মাহমুদ মূর্তি বিক্রেতা নয়, মূর্তি
ধ্বংসকারী।’
মূর্তি ভাঙা হল।
মূর্তির বিশাল পেট
থেকে বের হলো প্রচুর হীরা, পদ্মরাগ
মণি, অঢেল মুক্তা যার
মূল্য ছিল ব্রাহ্মণদের প্রতিশ্রুত উপহারের চেয়ে বহু বহু গুণ বেশী।
No comments:
Post a Comment