Saturday, January 5, 2019

ওয়াহাবের আমল দেখে উমার (রাঃ) ঈর্ষান্বিত হলেন

ওয়াহাব ইবনে কাবুস (রাঃ) একজন সাহাবী। তিনি একটি গ্রামে বাস করতেন এবং বকরি চরাতেন। একদিন তিনি নিজের ভ্রাতুষ্পুত্রের ছাগলের সাথে নিজের ছাগলগুলো বেঁধে দিয়ে ছাগলগুলো ওইখানে ফেলে মদীনায় চলে গেলেন। সেখানে নবী করীমকে (সাঃ) সন্ধান করে জানতে পারলেন, নবী করীম (সাঃ) উহুদের যুদ্ধে চলে গেছেন। তিনি দ্রুত গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে হাজির হলেন।

তিনি পৌঁছার পর একদল কাফির নবী করীমকে (সাঃ) আক্রমণ করলো। হযরত ওয়াহাব (রাঃ) তখন ক্ষিপ্রতার সাথে এবং অমিতবিক্রমে তরবারি চালাতে লাগলেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে শত্রুদের হটিয়ে দিলেন। একটু পর আরেক দল নবী করিমকে (সাঃ) আক্রমণ করল। এবারও হযরত ওয়াহাব শত্রুদের হটিয়ে দিলেন। এবার তৃতীয় দল আক্রমণ করল। নবী করীম (সাঃ) তখন ওয়াহাবকে জান্নাতের সুসংবাদ দিলেন। বলার সাথে সাথে হযরত ওয়াহাব শত্রুদলটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কিন্তু শ্রান্তক্লান্ত বীর এবার শহীদ হয়ে গেলেন।

সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস বলেন যে, ওয়াহাব (রাঃ) সেদিন যে বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন, কোন যোদ্ধাকে তিনি কখনও অমন সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করতে দেখেননি।

ওয়াহাবের শাহাদাতের পর নবী করীম (সাঃ) তাঁর মাথার কাছে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমি তোমার উপর সন্তুষ্ট, আল্লাহও তোমার উপর সন্তুষ্ট হন।

এরপর নবী করীম (সাঃ) সাংঘাতিক ভাবে আহত হয়ে থাকলেও নিজের পবিত্র হাতে ওয়াহাবকে দাফন করলেন। হযরত উমার (রাঃ) বলেন, কারো আমল দেখে আমি কখনও ঈর্ষান্বিত হই নি। কিন্তু ওয়াহাবের আমল দেখে আমি বাস্তবিকই ঈর্ষান্বিত হয়েছিলাম। এমন আমলনামা নিয়ে যদি আল্লাহর নিকট যেতে পারতাম।

লেখকঃ আবুল আসাদ (আমরা সেই সে জাতি-দ্বিতীয় খন্ড)

No comments:

Post a Comment