সমগ্র আরব তখন মহানবীর
(সা) করতলে। প্রভূত সম্পদ তখন জমা হয়েছে মদিনার নববী রাষ্ট্রে। এমনি
একদিন মহানবীর (সাঃ) একমাত্র জীবিত সন্তান আদরের দুলালী ফাতিমা (রাঃ) এলেন
তাঁর কাছে।
মহানবী (সাঃ) দাঁড়িয়ে
দুহাত বাড়িয়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন। সস্নেহে তাঁকে পাশে বসালেন।
রুমাল দিয়ে মেয়ের মুখের ঘর্মবিন্দু মুছে দিলেন। তারপর কুশল জিজ্ঞাসা করলেন
মেয়ের।
কুশল বিনিময়ের পর
ফাতিমা (রাঃ) বিষন্নভাবে বললেন, ‘আব্বাজান,
অনেক লোক আমার
বাড়িতে। আমরা দু'জন,
তিন ছেলে, চারজন ভাতিজা এবং অতিথিদের স্রোত। আমাকে
একাই রান্নাবান্না করতে হয়, সবকিছু
দেখাশুনা করতে হয়। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, আমি শুনেছি, বন্দী অনেক মেয়ে এসেছে। যদি একটি মেয়ে
আমাকে দেন, খুব
উপকার হয়।’
মহানবী (সাঃ) কম্পিত
কণ্ঠে বললেন, ‘প্রিয়
কন্যা আমার,
যে সম্পদ এবং
বন্দীদের তুমি দেখছ সবই মুসলিম জনসাধারণের। আমি এ সবের খাজাঞ্চি মাত্র। আমার কাজ হলো এগুলো
সংরক্ষণ করা এবং যথার্থ প্রাপকদের তা দিয়ে দেয়া। তুমি সেই প্রাপকদের একজন নও। সুতরাং এখান থেকে আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারিনা। প্রিয় কন্যা, এই দুনিয়া কঠোর সংগ্রামের ক্ষেত্র। তুমি
তোমার কাজ
করে যাও। যখন ক্লান্ত হবে, আল্লাহকে
স্মরণ করবে এবং তাঁর সাহায্য চাইবে। তিনিই তোমাকে শক্তি যোগাবেন।’
লেখকঃ আবুল আসাদ (আমরা সেই সে জাতি-দ্বিতীয় খন্ড)
No comments:
Post a Comment