Monday, January 7, 2019

ফকিরের দরবারেই সুলতান হাযির হলেন

গজনীর সুলতান মাহমুদ একদিন সমরখন্দের খারকান গ্রামে গেলেন। শেখ আবুল হাসান নামে একজন বুযর্গ ব্যক্তি সেখানে বাস করতেন। সুলতানের ইচ্ছা তাঁরই সাথে দেখা করা।

তিনি সেখানে পৌঁছে বুযর্গ ব্যক্তিকে অনুরোধ করে পাঠালেন তাঁর তাঁবুতে আসার জন্য।

সুলতানের বেয়ারা যখন সুলতানের বার্তাটি ঐ বুজুর্গ ব্যক্তিকে দিলেন, তখন তিনি বললেন, ‘আমি উপরের মহারাজাধিরাজের হুকুম পালনে এতই ব্যস্ত যে, অধঃস্তন এই রাজার হুকুম পালনের জন্য আমার সময় নেই বলে আমি দুঃখিত।

সুলতান মাহমুদ যখন এই খবর শুনলেন তিনি অভিভূত হয়ে পড়লেন এবং বললেন, ‘উঠ তোমরা, আমরাই তাঁর কাছে যাব। তিনি এখানে আসবেন এমন মানুষ তিনি নন।

সুলতান শেখ আবুল হাসানের কাছে গেলেন এবং তাঁকে অভিনন্দন জানালেন। শেখ স্বাগত জানালেন সুলতানকে। কিন্তু আসন থেকে উঠলেন না। সুলতান তাঁর কাছে কিছু উপদেশ চাইলেন। শেখ বললেন, ‘মসজিদে নামায পড়বে, দান করবে এবং নিজ জনগণকে ভালবাসবে।

সুলতান তাঁর আশীর্বাদ চাইলেন। শেখ বললেন, ‘তুমি সর্বশেষ মাহমুদের (প্রশংসিতের) সাথে থাক।

সুলতান এক থলে টাকা শেখের সামনে রাখলেন। শেখ এক খণ্ড বার্লির রুটি তুলে নিয়ে সুলতানকে বললেন, ‘খাও।সুলতান মুখ ভরে রুটি চিবালেন কিন্তু গিলতে পারলেন না।

শেখ বললেন, ‘এই বার্লির রুটি যেমন তোমার গলায় বাধছে, তোমার স্বর্ণ মুদ্রাগুলো তেমনি আমার গলায় বাধবে। এই স্বর্ণ মুদ্রাগুলো নিয়ে যাও এবং দরিদ্রের মধ্যে বিলি করে দাও।’ 

লেখকঃ আবুল আসাদ (আমরা সেই সে জাতি-দ্বিতীয় খন্ড)

No comments:

Post a Comment