বাদশাহ আওরঙ্গজেব যে
কত বড় ন্যায়বিচারক ছিলেন, তাঁর
৫০ বছর রাজত্ত্বকালের হাজার হাজার ন্যায়বিচারের ঘটনা থেকে তার
প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি বলতেন, বিচার
ক্ষেত্রে শাহজাদাদেরকেও আমি সাধারণ লোকের পর্যায়ভুক্ত মনে করি। বাদশাহ
আওরঙ্গজেব ১০৮২ হিজরী সনে এক আদেশ জারি করেন, জিলায় জিলায় প্রতিনিধি নিযুক্ত
করে জনসাধারণকে জানিয়ে দেয়া হোক যে, বাদশাহর বিরুদ্ধে যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে তাহলে নির্ভয়ে তা পেশ
করতে পারবে। সরকারী প্রতিনিধি সে সব অভিযোগের কৈফিয়ত প্রদান করবে।
অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযোগকারী তার
অধিকার ফিরে পাবে। বাদশাহ সরাসরি দায়ী হলে বাদশাহ নিজেই তার প্রতিকার করবেন।
মির্জা কামবখশ
আলমগীরের অত্যন্ত স্নেহপরায়ণ পুত্র ছিলেন। তাঁর দুধ ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ
আরোপিত হয়।
আলমগীর আদেশ দিলেন যে,
বিচারালয়ে এর
তথ্যানুসন্ধান করা হোক। তদন্তের নিরপেক্ষতা যাতে কোনভাবেই নষ্ট না হয়,
কোন সুপারিশ যেন
গ্রাহ্য করা না হয়, সুপারিশকারী
যদি বাদশাহর সন্তানও হয়। কিন্তু কামবখশ তার দুধ ভাইয়ের পক্ষে
দাঁড়ালেন। আলমগীর
কামবখশকে দরবারে ডাকলেন। কামবখশ দুধ ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আসলেন।
আলমগীর নিজ সন্তানকে
গ্রেফতার করে তদন্ত কমিটিকে বললেন, ‘এবার নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পারবে।’
No comments:
Post a Comment