দ্বিতীয় খলীফা হযরত
উমার ফারূকের
শাহাদাত প্রাপ্তির পর খলীফা নির্বাচন নিয়ে মতানৈক্যের সৃষ্টি হলো। শাহাদাতের
পূর্বে হযরত উমারকে (রাঃ) ভাবি খলীফা নির্বাচন সম্পর্কে তাঁর
মতামত জিজ্ঞাসা করা
হয়েছিল। হযরত উমার (রাঃ) কোন বিশেষ একজনের নাম না করে হযরত আলী (রাঃ), হযরত উসমান (রাঃ), হযরত আবদুর রহমান (রাঃ), হযরত সা‘দ (রাঃ), হযরত তালহা (রাঃ) ও হযরত যুবাইর (রাঃ) এ
ছয় জনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্ত নির্বাচন সভায় তাদের
মধ্য থেকে একজনকে নির্বাচন করতে গিয়ে বিভিন্ন মত
এমনকি ছয় জনকে নিয়ে ছয়টি
ভিন্ন ভিন্ন ভাগেরই সৃষ্টি হয়ে গেল। আলোচনায় অচলাবস্থার সৃষ্টি
হলো। অবশেষে যুবাইর বললেন, ‘আমি
হযরত আলীর স্বপক্ষে আমার দাবী পরিত্যাগ করলাম।’ হযরত তালহা দাঁড়িয়ে বললেন, ‘খিলাফতের
দায়িত্ব মাথায় নিতে আমি একেবারে অক্ষম। সুতরাং
আমার দাবী আমি হযরত উসমান গনির (রাঃ) উপর অর্পন করলাম।’ হযরত
সা‘দ (রাঃ) দন্ডায়মান হয়ে বললেন, “আমার
মতে খিলাফতের যোগ্য ব্যক্তি হযরত আবদুর রহমান
ইবন আউফ। সুতরাং আমি আমার দাবী পরিত্যাগ করে হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফকে সমর্থন করছি।”
অতঃপর সমস্যা ছয় থেকে তিনে এসে দাঁড়াল। সেদিনকার মত সভা ভেঙ্গে গেল। মীমাংসা হলোনা। বাড়ী গিয়ে হযরত আবদু্র রহমান ইবন আউফ চিন্তা করলেন, হযরত আলী ও হযরত উসমানের মতো যোগ্য ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে খলীফার পদ আমার জন্য সাজে না। বিষয়ট চিন্তা করেই হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ হযরত আলীর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, “আমি আদৌ খলীফা হতে চাইনে, আর এইভাবে খলীফাহীন অবস্থায় মুসলিম জাহান একদিনও থাকা উচিত নয়। এজন্য আমি চাই, সত্বরই একটি সভা আহবান করে আপনাকে খলীফা হিসেবে ঘোষণা করি।” সম্মান ও সম্পদের প্রতি চির বীতশ্রদ্ধ হযরত আলী বললেন, “উত্তম, আমিও খলীফা নির্বাচন ব্যাপারে বিলম্ব পছন্দ করিনা। আর খিলাফতের দায়িত্বকে গুরুতর বোঝা মনে করি। অতপর আসুন কালই আমরা হযরত উসমানকে (রাঃ) খলীফা পতে বরণ করি।” হযরত আলীর প্রস্তাব অনুসারেই কাজ হলো। পরবর্তী দিনের সভায় হযরত উসমান (রাঃ) খলীফা নির্বাচিত হলেন।
অতঃপর সমস্যা ছয় থেকে তিনে এসে দাঁড়াল। সেদিনকার মত সভা ভেঙ্গে গেল। মীমাংসা হলোনা। বাড়ী গিয়ে হযরত আবদু্র রহমান ইবন আউফ চিন্তা করলেন, হযরত আলী ও হযরত উসমানের মতো যোগ্য ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে খলীফার পদ আমার জন্য সাজে না। বিষয়ট চিন্তা করেই হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ হযরত আলীর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, “আমি আদৌ খলীফা হতে চাইনে, আর এইভাবে খলীফাহীন অবস্থায় মুসলিম জাহান একদিনও থাকা উচিত নয়। এজন্য আমি চাই, সত্বরই একটি সভা আহবান করে আপনাকে খলীফা হিসেবে ঘোষণা করি।” সম্মান ও সম্পদের প্রতি চির বীতশ্রদ্ধ হযরত আলী বললেন, “উত্তম, আমিও খলীফা নির্বাচন ব্যাপারে বিলম্ব পছন্দ করিনা। আর খিলাফতের দায়িত্বকে গুরুতর বোঝা মনে করি। অতপর আসুন কালই আমরা হযরত উসমানকে (রাঃ) খলীফা পতে বরণ করি।” হযরত আলীর প্রস্তাব অনুসারেই কাজ হলো। পরবর্তী দিনের সভায় হযরত উসমান (রাঃ) খলীফা নির্বাচিত হলেন।
লেখকঃ আবুল আসাদ (আমরা সেই সে জাতি-প্রথম খন্ড)
No comments:
Post a Comment